জানা যায়, শাল্লা উপজেলার ঘুঙ্গিয়ারগাঁও ও ডুমরা গ্রামের লোকজন এই হাওরেই বোরো ধানের চাষ করে। কিন্তু গত তিনদিন ধরে নদ নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা দিন-রাত মাটি কেটে বাঁধটিকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, কৈয়ারবন ও পুটিয়া হাওরে প্রায় ৪০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতার বাইরে। এরপরও আমরা চেষ্টা করেছি ফসলি জমি রক্ষা করার। কিন্তু উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যেকোনো ভাবে হাওর অঞ্চলের ধান বাঁচাতেই হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। অসময়ে নদীতে পানি আসায় আমাদের ঝুঁকি বেড়েছে। এছাড়া বাঁধে কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
কমেন্ট করুন